1.1-1.2 ওয়েব টেকনোলজি (Web Technology) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development)

ওয়েব টেকনোলজি (Web Technology) এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development) দুটি একে অপরের সাথে সম্পর্কিত ধারণা, তবে এদের নির্দিষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে।

ওয়েব টেকনোলজি (Web Technology):

ওয়েব টেকনোলজি হলো বিভিন্ন টুলস, প্রোটোকল, ল্যাঙ্গুয়েজ এবং স্ট্যান্ডার্ডগুলির একটি সেট যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) তৈরি, পরিচালনা এবং অ্যাক্সেস করতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি ওয়েবসাইটের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রদান করে।

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েব টেকনোলজি হলো:

  • HTML (HyperText Markup Language): ওয়েবপেজের কাঠামো তৈরি করে।
  • CSS (Cascading Style Sheets): ওয়েবপেজের ডিজাইন এবং লেআউট নিয়ন্ত্রণ করে।
  • JavaScript: ওয়েবপেজে ইন্টারঅ্যাকটিভিটি যোগ করে।
  • HTTP/HTTPS (Hypertext Transfer Protocol/Secure): ওয়েব সার্ভার এবং ব্রাউজারের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের প্রোটোকল।
  • XML (Extensible Markup Language) এবং JSON (JavaScript Object Notation): ডেটা স্টোর এবং ট্রান্সফার করার ফরম্যাট।
  • Web Servers (যেমন Apache, Nginx): ওয়েবপেজ এবং ডেটা হোস্ট করে।
  • Databases (যেমন MySQL, PostgreSQL, MongoDB): ওয়েবসাইটের ডেটা সংরক্ষণ করে।
  • Frameworks এবং Libraries (যেমন React, Angular, Vue.js, Node.js, Django, Ruby on Rails): ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করে।

সহজ কথায়, ওয়েব টেকনোলজি হলো সেই সব উপাদান যা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development):

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো এই ওয়েব টেকনোলজিগুলি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন, কোডিং, পাবলিশ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে বোঝায়। ওয়েব ডেভেলপাররা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা, ফ্রেমওয়ার্ক এবং অন্যান্য টুল ব্যবহার করে একটি কার্যকরী এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে সাধারণত তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট (Front-end Development): এটি ওয়েবসাইটের সেই অংশ নিয়ে কাজ করে যা ব্যবহারকারীরা সরাসরি দেখতে এবং ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারে। এতে HTML, CSS এবং JavaScript ব্যবহার করে ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন এবং ডেভেলপ করা হয়।
  2. ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট (Back-end Development): এটি ওয়েবসাইটের সেই অংশ নিয়ে কাজ করে যা ব্যবহারকারীরা সরাসরি দেখতে পায় না, তবে ওয়েবসাইটের কার্যকারিতার জন্য অত্যাবশ্যক। এর মধ্যে রয়েছে সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন, এবং ডেটাবেস। Python, PHP, Ruby, Java, Node.js-এর মতো ভাষা এবং Django, Rails, Express.js-এর মতো ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়।
  3. ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট (Full-stack Development): একজন ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড উভয় দিকেই কাজ করতে সক্ষম হন।

 

একটি উদাহরণ দেখলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে:

যদি একটি বাড়ি তৈরি করার কথা ভাবলে:

  • ওয়েব টেকনোলজি হলো বাড়ি তৈরির উপকরণ (যেমন – ইট, সিমেন্ট, লোহা, কাঠ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা)।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো এই উপকরণগুলি ব্যবহার করে বাড়িটি ডিজাইন করা, তৈরি করা এবং সম্পূর্ণ করার প্রক্রিয়া।

সারসংক্ষেপে, ওয়েব টেকনোলজি হলো টুলস এবং উপাদানের সেট, আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো সেই টুলস এবং উপাদানগুলি ব্যবহার করে কিছু তৈরি করার প্রক্রিয়া।

Author: tutor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *